মঠবাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় মডেল জামে মসজিদে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (স:) অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে।
১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (স:) পৃথিবীতে শান্তির বাণী নিয়ে আগমন করে এবং একই দিনে আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে পবিত্র মদিনা শরীফের মাটিতে ঘুমিয়ে যান।
প্রাক-ইসলামী যুগে যখন চরম উচ্ছৃঙ্খলতা, পাপাচার, দুরাচার, ব্যাভিচার, মিথ্যা, হত্যা, লুন্ঠন, মদ্যপান, জুয়ায় ভরপুর ছিল। অন্যায়-অপরাধ, দ্বন্ধ-সংঘাত, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নৈরাশ্য আর হাহাকার বিরাজ করছিল ঠিক এমন সময় মানবতার মুক্তির দিশারী সর্বেেশ্রষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সারা জাহানের হিদায়েতের জন্য আবির্ভূত হলেন। রাসুল (সাঃ) হলেন বিশ্ব মানতার জন্য আল্লাহর এক অনন্য রহমত স্বরুপ। মহান বিশ্ব পরিচালক ঘোষণা করেছেন, “আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি বিশ্ব জগতের জন্য বিশেষ রহমত স্বরুপ।”
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খৃীস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার জনগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমিনা এবং পিতার নাম আব্দুল্লাহ। অতি অল্প বয়স থেকেই আল্লাহ তাকে কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে নেন। জন্মের পূর্বে পিতা, ৬ বছর বয়সে মা আমিনাকে হারান। এবং ৮ বছর বয়সে তার দাদা মৃত্যু বরণ করেন। ইয়াতীম শিশু বড় হয়ে উঠে চাচার সযত্ন ভালবাসায়।
হযরত মুহাম্মদ (স:) এর জন্ম হওয়ার পরই মা আমেনা দাদা আব্দুল মুত্তালিবকে পাঠান। সংবাদ পাওয়ার পরেই তিনি ছুটে আসেন। পরম স্নেহে দেখেন, যত্নের সঙ্গেঁ কোলে নিয়ে কা’বার ভেতর প্রবেশ করেন, আল্লাহর হামদ বর্ণনা করেন এবং দোয়া করেন। অতঃপর তাঁর নাম রাখেন ‘মুহাম্মদ’(প্রশংসিত)।
প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন, মঠবাড়িয়া কেন্দ্রেীয় মডেল জামে মসজিদের খতিব ও টিকিকাটা নুরিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব হযরত মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান, আলোচনা পেশ করেন, মাওঃ সিহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মসজিদের সানি ইমাম মাওঃ গোলাম কিবরিয়া।