পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মেয়েকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেয়ায় মামলার প্রধান আসামী সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মামলার বাদী অপহৃত মেয়েটির মা।
নির্যাতনে শিকার ওই হতভাগ্য মায়ের নাম বিউটি বেগম (৬০) তিনি উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের পাটিকেল বাড়ি এলাকার মো. তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী। নির্যাতনকারী হারুন অর রশিদ গাজী ওরফে হিরন (৫৫) একই এলাকার আনোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে সে স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনস্বাস্থ্য পরিদর্শক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু বিউটি বেগম জানায়, ২০২০ সালে তার মেয়ে তানিয়ার সাথে জনস্বাস্থ্য পরিদর্শক হিরনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিরনের বিবাহ হয়। তাদের এই বিয়েকে মানতে পারেনি হিরণ সে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তানিয়াকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তানিয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তানিয়ার মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন বিশেষ আদালতে হিরনকে প্রধান করে নামীয় ৪ জন ও অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামী করে একটি অপহণ গুমের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নিতে বিউটি বেগমকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে হুমকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিউটি বেগম তার এক আত্মিয়ের বাড়ি বেড়াতে যাবার সময় গুয়ারেখা এগারোগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌছুলে হিরন বিউটির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হিরনের এলাপাথাড়ি পিটানে বিউটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হিরন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে বিউটির স্বামি তোফাজ্জেল হোসেন নেছারাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিখোঁজ গৃহবধু তানিয়ার স্বামি মিজানুর রহমান মিরন জানায় তার ভাই হিরন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। হিরন তার স্ত্রীকে গুম করেছে এখন মামলা তুলে নিতে তার শাশুড়ীকে মেরে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জনস্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. হারুন অর রশিদ হিরন ওই গৃহবুর উপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তার উপর গৃহবধু বিউটি এবং তার ছেলে সোহান হামলা করেছে এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ গুমের মামলা দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। আমার উপর হামলা করেছে।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।