বেটা ভার্সন

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

পরিত্যক্ত ঘোষণার ২ বছরেও হয়নি ভবন নির্মাণ কাউখালীর পোস্ট অফিস

আরও পড়ুন

এক সময় ঘুম ভেঙেই প্রিয়জনের চিঠি পাওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনত সবাই। কালের বিবর্তনে টেলিফোন, মোবাইল, ইমেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপর মতো মাধ্যম চালু হওয়ায় এখন আর সেই চিঠির অপেক্ষায় থাকতে হয় না।

তবে পোস্ট অফিসগুলোও কাজে পরিবর্তন এনে পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। মানিঅর্ডার কিংবা আগের মতো চিঠি-পত্র না আসলেও সঞ্চয় পত্র, নির্দিষ্ট ডিপোজিট রাখার জন্য অবসরপ্রাপ্ত অথবা সাধারণ মানুষের ভিড় পোস্ট অফিসে লেগেই আছে। অথচ সাধারণ মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভেজাল আস্থার পোস্ট অফিস ঘরগুলো পায়নি আধুনিকতার ছোঁয়া। অনেক জায়গায় সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।

তেমনি একটি পোস্ট অফিসের নাম কাউখালী উপজেলা পোস্ট অফিস। দীর্ঘ দুই বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশেই একটি ভবনের নিচতলায় ৫ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে চলছে পোস্ট অফিসে সব ধরনের কার্যক্রম। ভাড়া নেওয়া ভবনটি ও যেন একটি অন্ধকার মহল। সামান্য ঝড় বৃষ্টি হলেই পানি ডুবে যায় কক্ষে। এমনই এক ভবনে সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতা পত্র, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাগজ, এমনকি ডাক টিকিট, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, প্রাইজবন্ডের মতো রাজস্ব আদায়ের সম্পদগুলো অরক্ষিত অবস্থায় ব্যবহার করতে হয়।

জানা যায়, কয়েক যুগ আগে থানার সামনে এক বিঘার অধিক সম্পত্তির ওপর নির্মিত হয়েছিল একতলা বিশিষ্ট পোস্ট অফিস ভবন ও নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর। দীর্ঘ কয়েক বছর আগে নির্মিত এই পোস্ট অফিস ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে, ভবনের বিভিন্ন অংশ জায়গায় ফাটল ধরে প্লাস্টার খুলে পড়ে। একপর্যায়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হলে ২ বছর পূর্বে কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। দীর্ঘদিন পার হলেও আজ পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী বাউন্ডারি ওয়াল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে এই ভবনটি। বেহাত হচ্ছে পোস্ট অফিসের সম্পদ। বিএস পরচায় ৬৪ শতাংশ জমি পোস্ট অফিসের নামে রেকর্ড হলেও তা বর্তমানে দখল হারাতে বসেছে।

এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা পোস্ট মাস্টার উত্তম কুমার সিকদার জানান, পোস্ট অফিসের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর ভাড়া ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। সেবা গ্রহীতাদের সঠিকভাবে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কবে নাগাদ ভবন নির্মাণ করা হবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।

পিরোজপুর জেলা পোস্ট অফিসের ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন জানান, কাউখালী পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছিল করোনার কারণে ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পরেও কাজ শুরু করা হয় নাই। তবে বর্তমানে কাজ কবে হবে তা তাঁর জানা নেই।

এ ব্যাপারে পোস্টমাস্টার জেনারেল খুলনা মো. শামসুল আলম বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাউখালী পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। আজকের মধ্যে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ বিভাগ
- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ নিবন্ধ