বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
এতে হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন লাইনে বিস্ফোরণ হয়। এর মধ্যে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনেরা বলছেন, আতঙ্কে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগুন লাগার সঙ্গে ওই রোগীর মৃত্যুর সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে আগুন লাগে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন হাসপাতালে কর্মীরা।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় সিসিইউতে থাকা রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কে হুড়াহুড়ি শুরু করেন। তবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন হাসপাতালের কর্মীরা। সিসিইউতে ভর্তি রোগীদের পাশের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় সিসিইউতে ভর্তি রনদী দাস (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় তাঁর বাবা জীবিত ছিলেন। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি আর সাড়া দিচ্ছিলেন না। তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। আতঙ্কে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
এ বিষয়ে সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, ওই রোগী আগে থেকেই মুমূর্ষু ছিলেন। দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার বেশি সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আগুনে কেউ হতাহত হননি। সিসিইউতে থাকা রোগীদের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ জানতে চিকিৎসক জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।