বেটা ভার্সন

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ভান্ডারিয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা

আরও পড়ুন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামে ঝি এর কাজ করতে গিয়ে গৃহকর্তা কর্তৃক এক প্রতিবন্ধী শিশু (১৪) লাগাতার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির ফুপু ৩ জনকে আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিবন্ধী শিশুটির মা অন্যত্র বিয়ে করলে ইকড়ি গ্রামের সুলতান মাষ্টারের ছেলে মামূন মুন্সীর বাড়ীতে ৬ মাস পূর্বে ওই প্রতিবন্ধী শিশুটি ঝি এর কাজ নেয়। সে থেকেই ওই মেয়েটির ওপর গৃহকর্তা মামুনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এক পর্যায়ে লম্পট মামুন মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করে এবং মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মামুন এর স্ত্রী রোজিনা আক্তার মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে স্ত্রীর সহায়তায় ধর্ষক মামুন মুন্সি ওই মেয়েটিকে খূলনার একটি হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটির স্বজনদের না জানিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য গোপন করে গত ১৬ ডিসেম্বর তাকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।

এ ঘটনায় মেয়েটির ফুপু বাদী হয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষক গৃহকর্তা মামুন মুন্সি (৩৮) তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারসহ ৩ জনকে আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. বজলুর রহমান জানান, পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে গতকাল শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মেহেদি হাসান জানান,এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদ বিভাগ
- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ নিবন্ধ