অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া চার বাংলাদেশি তরুণী দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এক বছর পর তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন, বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের মেয়ে জুই আক্তার সাহিনুর (১৯), একই জেলার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের মেয়ে নাসরিন শামিন (১৮), সাতক্ষীরা জেলার মন্নু গাজির মেয়ে রওশান আরা (২০) ও নারায়নগঞ্জ জেলার আব্দুর রশীদের মেয়ে রওশান আরা সাথি (১৮)
জানা যায়, অভাব অনটনের সংসারে ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে এক বছর আগে অবৈধ পথে তারা ভারতে পাড়ি জমায়। ভারতের হায়দ্রাবাদে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে। পরে সেখান থেকে রেসকিউ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এসময় দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু আহম্মেদ জানান, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিজ এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহন করে, তারাই তরুণীদের নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেবেন।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রামা অফিসার মো. মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা ভাল কাজের লোভ দেখিয়ে এদেরকে সীমান্তের অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে। হায়দ্রাবাদে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে জেলখানায় যায়। এরপর আদালতের মাধ্যেমে তারা রেসকিউ নামে একটি শেল্টার হোমে থাকে। এসব তরুণীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফেরত আনা হয়। ইমিগ্রেশন ও পোর্ট থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের যশোর নিয়ে আমরা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে হস্তান্তর করব।
তিনি আরও জানান, ফেরত আসা তরুণীরা যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে মামলা করতে চায় সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।