দেশের মাঠে বিদায়ী টেস্ট খেলতে পারবেন সাকিব আল হাসান। সরকার এবং বিসিবি থেকে এমন সবুজ সংকেত পেয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু মাঝপথে দুবাইয়ে থামতে হলো তাকে।
সাকিবের নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে বলে বাংলাদেশে আসা তার আর হচ্ছে না।
‘মিরপুর ছাত্রজনতার’ ব্যানারে গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে অনেকে বিক্ষোভ করলে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সঙ্গে বিসিবি সভাপতি বরাবর টেস্ট দল থেকে তাকে বাদ দেওয়ার জন্য স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। পরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শে বাধ্য হয়েই সাকিবকে দেশে আসার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। সাকিবের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা দেশের মাটিতে বিদায় নেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় আক্ষেপ ঝড়েছে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের কণ্ঠে।
সাধারণ জনগণের প্রতি রাগ প্রকাশ করে নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছেন কোচ সালাহ উদ্দিন। তার করা পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
`দেশেরপ্রতি দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই, আজ কেন যেন লাগছে, আমরা মানুষ কী কখন ও নিজেরা ভুল করি না, কেউ অনুতপ্ত হলে তাঁকে একটা সুযোগ দেয় উচিত, কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে, দয়া মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।
একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭ টা বছর কিছু না কিছু করেছে , আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সন্মান করে কাদের জন্য , তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না, রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি ??? এদের সাথে মিশেছেন, এরা কত মানুষএর ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি ? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করাইছে সেটা কী জানেন ?
তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু, যখন মাশরাফি ৫ টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কী দেখছেন, সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়া বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য ?
দেশ কে সবাই কম বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসা টা হইতো দেখা যায়ও না, এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারো ক্ষতি করেনি, এরা খুনি না ।
খুব কষ্ট পাচ্ছি এদের কে মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না, মানুষ কে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দিবেন, আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনি ও সন্মানীত হবেন।