বেটা ভার্সন

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

বরগুনা সদর হাসপাতালে ফোনে কথা বলতে বলতে করোনার টিকা প্রদান

আরও পড়ুন

বরগুনায় মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে দাঁড় করিয়ে করোনার এক টিকা প্রত্যাশীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (অক্টোবর ১৮) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নাম মো. এনামুল কবির। তিনি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে বরগুনায় কর্মরত।

মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে দাঁড় করিয়ে এনামুল কবির যাকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করেছেন তার নাম মো. হানিফ মোল্লা। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পরীরখাল এলাকার বাসিন্দা।

মো. হানিফ মোল্লা বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে যাই। এ সময় টিকাদান কেন্দ্রের একজন কর্মী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে দাড় করিয়ে আমাকে টিকা প্রদান করেন। পরে এ ঘটনার ছবি আমি ফেসবুকে প্রকাশ করি। তবে তাকে টিকা প্রদানকারী ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নাম বলতে পারেননি তিনি। ফেসবুকে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায় হানিফ মোল্লাকে টিকা প্রদানকারী ওই স্বাস্থ্যকর্মীর হলেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. এনামুল কবির।

এ বিষয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. এনামুল কবির বলেন, করোনার টিকা প্রদানের সময় হঠাৎ করে অফিস থেকে আমাকে ফোন দেয়া হয়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি ফোনটি রিসিভ করতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে বরগুনার পাবলিক পলিসি ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, এত সাধের করোনার টিকা এভাবে প্রদান করা খুবই দুঃখজনক। যে কোনো কাজ একাগ্রতার সঙ্গে করা দরকার। কিন্তু এনামুল কবির যেভাবে করনার টিকা প্রদান করেছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ সময় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এ বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ নিবন্ধ