হংকং এর গণতন্ত্রপন্থী এক তরুণ অধিকারকর্মীকে ৪৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হংকংকে চীন থেকে আলাদা করা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০ বছর বয়সী টনি চুং এর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং সেসময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার পরবর্তীতে জামিনের আবেদন বাতিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কাছে একটি কফি শপে অন্য দু’জনের সাথে তাকে সেসময় আটক করা হয়েছিলো।
এদিকে জামিন আবেদনের ফলে তার সাজা ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে, বিচ্ছিন্নতার জন্য ৪০ মাস এবং অর্থ পাচারের জন্য ১৮ মাস। এর সাথে তিন মাস যোগ হয়ে মোট ৪৩ মাস সাজা।
স্থানীয় জেলা জজ আদালতের বিচারক স্ট্যানলি চ্যান বলেন, “টনি চুং দেশকে আলাদা করার জন্য সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম সংগঠিত এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিলো।’’
স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন টনি চুং। পাঁচ বছর আগে মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি ওই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তারপর থেকে ফেসবুকে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ছাত্র সংগঠন পেজ এর এবং ইনিশিয়েটিভ ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি নামে একটি সংগঠনের হয়ে হাজারের বেশি পোস্ট দিয়েছিলো টনি চুং।
অন্যান্য সরকার বিরোধী সংগঠনের মতো, ছাত্র সংগঠন ২০২০ সালের জুনে বেইজিং নিরাপত্তা আইন জারি করার আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
হংকং এর জনগণের বিশাল অংশ স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না। এদিকে নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে, হংকং একটি মোড় নিয়েছে, যার ফলে বেশিরভাগ রাজনীতিবিদরা এখন কারাগারে বা স্ব-নির্বাসনে রয়েছেন। সমাজের অনেক সংগঠন বন্দ হয়ে গিয়েছে এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী শহর ছেড়েছে।