পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর মধ্যে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগের নামে টাকা আত্মসাতের মামলায় মেয়র হাবিবুরসহ আরও ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবেক সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম, পাম্প চালক দিপু দাস, নিতাই চন্দ্র সাহা, মো. মেহদী হাসান, বাজার শাখার আদায়কারী মো. আসাদুজ্জামান, মো. সৌদী করিম, সাব্বির মাহমুদ, পারভীন আক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী সেতু পাল পূজা, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক জ্যোতি দেবনাথ, সহকারী কর আদায়কারী মো. মারুফ বিল্লাহ, বালি শফিকুল ইসলাম, পানি শাখার ক্লার্ক শারমিন আক্তার বনানী, ট্রাক চালক মো. হাচান, সুইপার সুপারভাইজার হাসনা আক্তার, মো. জিলানী ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তানিয়া।
বর্তমানে এরা সবাই বরখাস্ত হয়ে আছেন।
হাবিবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।
মামলার বরাতে তরুণ কান্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান কোন নিয়মনীতির প্রতিপালন না করে অবৈধভাবে ১৭ জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডে দুই কোটি টাকা জমা করে। ওই টাকা থেকে আবাহনী ক্লাব ও ডায়াবেটিস হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান ও তৎকালীন সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম ভবন নির্মাণ না করে পরস্পর যোগসাজসে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
২০২০ সালে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পরে তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে সরকারের অর্থ আত্নসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় পৃথক দুটি মামলা করা হয় বলে জানান তরুণ।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।