তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক বিচারিক হাকিম মাঠে নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন তারা।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শাহীনুর আক্তার জানিয়েছেন, ভোটের মাঠে ৩৮১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালার অধীন নির্বাচনী অপরাধগুলো ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নম্বর পাঁচ)’ এর ১৯০ ধারার অধীনে আমলে নেওয়া ও তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিচারিক হাকিম নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও তাদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্বাচনকালীন সংঘটিত অপরাধগুলো আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের নিমিত্তে ভোটগ্রহণের আগের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন অর্থ ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন ৩৮১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি দুই ইউপির জন্য একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। তবে কোনো কোনো উপজেলায় প্রতি তিন ইউপির জন্যও একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এসব কর্মকর্তার ভোটের দায়িত্বকে বিচারিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল সাভির্সের কর্মকর্তাগণকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত অবমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট চিফ মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।
এতে বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালনকালে একজন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনােগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধান ব্যবস্থা নেবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়ােজনীয় যানবাহন সরবরাহ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত প্রয়ােজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ নিয়ােগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার/পুলিশ কমিশনার।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচনে ২০টি দল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্রসহ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৫ হাজার ২২২ জন প্রার্থী। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১০০ জন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১১ হাজার ৬০৯ জন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১১ হাজার ১০৫ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৩২ জন।
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৩৭ হাজার ৬৯জন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩২ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩৩৭ জন।