বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে মহিলাদের মাসে মাসে ‘পকেট মানি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ক্ষমতায় আসার পর কালবিলম্ব না করে ‘লক্ষ্মাীর ভান্ডার’ চালু করেছেন।
এই প্রকল্পে সাধারণ ঘরের মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫০০ টাকা করে। আর অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন প্রতি মাসে। গোয়াতেও এই ধরনের প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। তার নাম দেওয়া হয়েছে- গৃহলক্ষ্মী।
শনিবার গোয়ায় ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারের গৃহকর্ত্রীকে মাসে মাসে দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা। বছরে পাবেন ৬০ হাজার। এজন্য় একটি গৃহলক্ষ্মী কার্ড পাবেন গৃহকর্ত্রী।
বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে বিপুল খরচে টান পড়ছে রাজ্যের কোষাগারে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীই প্রশাসনিক সভাগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের বলেছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জোগাড় করাই সরকারের লক্ষ্য। এখনই নতুন কোনও প্রকল্প সম্ভব নয়। আগে চলমান কাজগুলিকে শেষ করাই লক্ষ্য়। তাহলে গোয়ায় কীভাবে খরচ উঠবে? গোয়া তৃণমূল জানিয়েছে, গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে কোষাগার থেকে ব্য়য় হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা। যা রাজ্যের বাজেটের ৬-৮ শতাংশ।
গোয়ায় তৃণমূলের এই ঘোষণার পর বাংলাতেও মহিলাদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়,’এ রাজ্যে প্রতিটি পরিবারকে ৬ হাজার দিক রাজ্য় সরকার। আগে বাংলায় রূপায়ন করে পরে গোয়ায় করবেন।’ একই সুরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আগে রাজ্যের মহিলাদের ৫০০০ টাকা দিক তৃণমূল। গোয়ায় ৫ হাজার আর বাংলায় ৫০০ টাকা! মহিলারাই দাবি তুলুন। বাংলাকে ঋণে ডুবিয়েছে তৃণমূল। এবার সমৃদ্ধ রাজ্য গোয়াকে ডোবাতে চাইছেন।