গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে হলেও এ মাফিয়াদের হটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাম্য, মানবিক মর্যাদা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বেলা অনেক গড়িয়েছে, জল অনেক গড়িয়েছে, এবার ফাইনাল খেলার সময় হয়েছে। কে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটা আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে, ভোটাধিকার ফেরাতে যে-ই যে ব্যানারে ডাক দিক, নিজ অবস্থান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
বিজয় দিবসে শরীয়তপুর, জামালপুর, রাঙামাটির লংগদু, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার অভিযোগ এনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ অধিকার পরিষদের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ‘আজ সারা বিশ্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে, এর মানে কী? এ মাফিয়ারা এখন বিশ্বে নিগৃহীত। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আজ এদের কারণে ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে। পুলিশ ও র্যাব প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সাত কর্মকর্তার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা এলো, তা কি তাদের পারিবারিক কারণে এসেছে? ব্যক্তিগত কারণে এসেছে? এসেছে বিনা ভোটের মাফিয়া সরকারের গদি টেকানোর জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটি স্বৈরাচার সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বিজয় উৎসবে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার নৈতিক অধিকার কি এ সরকারের আছে? আমাদের হক নষ্ট করে, আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে জুলুম করে স্বাধীনতার পৈশাচিক উল্লাস করেছে। এদের নৈতিক ভিত্তি নেই, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।’