সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে বঙ্গভবনে সংলাপ শুরু হচ্ছে।
প্রথম দিন সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
একদিন বাদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ গণমাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দলটির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে যাবে।
জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আবু হোসেন বাবলা।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। সংলাপে নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন আইন করার বিষয়টি তুলতে পারে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বাছাই করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা শপথ নিয়েছিলেন। নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।