বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় কন্যাসন্তানের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভে সাড়ে তিন মাস বয়সী ছেলেসন্তানকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছালেহা আক্তার পলি (৩৩) নামের ওই নারী।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত শিশুটির নাম জোবায়ের। অভিযুক্ত পলি গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের সাগির হোসেন তালুকদারের স্ত্রী।
নিহত শিশুর স্বজনদের ভাষ্যমতে, সাগির হোসেন ও পলি দম্পতির দুই ছেলেসন্তান রয়েছে। তারা আশা করছিলেন দুই ছেলেসন্তানের পর কন্যাসন্তান হবে। কন্যাসন্তান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতেন পলি। সাড়ে তিন মাস আগে আরও একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন তিনি। মেয়েসন্তান না হওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন পলি বেগম। তৃতীয় ছেলে সন্তান জোবায়েরকে তেমন আদর-যত্নও করতেন না।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার পর জোবায়েরকে ঘরে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা গোয়ালঘরের পাশে বালতির পানির মধ্যে শিশু জোবায়েরকে চুবিয়ে ধরা অবস্থায় পলিকে দেখতে পান। শিশুটিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে পলি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা মৃত অবস্থায় শিশু জোবায়েরকে উদ্ধার করেন।
জোবায়েরের বাবা সাগির হোসেন তালুকদার জানান, জোবায়ের জন্মের পর থেকে পলি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মন খারাপ করে থাকতেন। জোবায়েরকে পছন্দও করতেন না।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে ছালেহা আক্তার পলির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যরা জোবায়েরের মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।