চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বড়সলুয়া গ্রামের আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাফিয়া ইয়াসমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তার স্বামী ফারুক হোসেন।
তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় নাফিয়া ইয়াসমিন প্রাণে রক্ষা পান। এ সময় পুরো বিদ্যালয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভোর রাতে পুলিশ টানা দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে স্বামী ফারুক হোসেনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে লাইসেন্সকৃত পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল ও অবৈধ গুলি উদ্ধার করে।
নাফিয়া ইয়াসমিন আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠের কারিগরি শাখার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার স্বামী গোলাম ফারুক আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠ নিম্নমাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষক এবং তিতুদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। নাফিয়া ইয়াসমিন ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ফারুক হোসেন বড়সলুয়া গ্রামের মৃত সামসুল আলম ফরজন মাস্টারের ছেলে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা এবং অবৈধ গুলি রাখার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, নাফিয়া ইয়াসমিনের ভাষ্য অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে ৩ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি তাকে লক্ষ্য করে ছোড়েন তার স্বামী। খবর পেয়ে বুধবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে গোলাম ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তার অস্ত্রটি বৈধ। তার নামে ১০০টি বরাদ্দকৃত গুলি বরাদ্দ আছে। আমরা ১৩৪টি গুলি উদ্ধার করেছি। ৩৪টি গুলি অবৈধ। বুধবার বিকেল স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা ও অবৈধ গুলি রাখার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে থানায়।