চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় ভূখণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন বাংলাদেশি নিহতের ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পরও নিহতের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
তবে তাদের গুলিতে এক বাংলাদেশির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিক কোনো পতাকা বৈঠকও হয়নি।
নিহত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া গ্রামের আবু তাহের অরফে দুখুর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মুনিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে আজমতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকা দিয়ে ইব্রাহিম ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে আহত হন। গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে বিএসএফ সদস্যরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর আজমতপুর সীমান্ত ফাঁড়ির পক্ষ থেকে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের জন্য যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক হয়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৭০ শশ্মানী ক্যাম্পের একটি প্রতিনিধি দল ইব্রাহিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হতে পারে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আজমত বিজিবি ফাঁড়িতে বার বার যোগাযোগ করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা জানান, আজমতপুর সীমান্তে ১৮৪ আন্তর্জাতিক পিলারের ২ এস সাব পিলারের পাশ দিয়ে ভারতে চোরাচালান করতে গিয়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ ফেরতের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৭০ শশ্মানি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে বুধবার দুপুরে একটি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য বিজিবির অধিনায়ককে অন্তত পাঁচ বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
