বান্দরবানে দুই শিশুসন্তানকে আটকে রেখে গর্ভবতীকে বেঁধে মারধরসহ একাধিকবার ধর্ষণের পর ঘরের জিনিসপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান লামা থানার এসআই মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা।
গৃহবধূর অভিযোগের বরাতে এসআই বলেন, লামা উপজেলার রূপসীপাড়া এলাকার এই গৃহবধূ বুধবার রাত ২টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন।
“হঠাৎ কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। তারা তাকে মারধর করার পাশাপাশি রাতভর ধর্ষণ করে। তাছাড়া তারা আলমারি, ওয়ার্ডরোব ও শোকেস ভেঙে টাকাসহ সোনার গয়না নিয়ে যায়। সে সময় তার দুই শিশুসন্তানকে আরেক ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে তারা।”
সকালে তাদের সাড়া না পেয়ে এবং সন্দেহ হলে পাশের বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
এসআই রমিজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় রশি কেটে ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
কারা এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে এসআই কিছু বলতে পারেননি।
তবে লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন এর সঙ্গে তার দেবর জড়িত রয়েছেন।”
পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি শহীদুল।