ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন শিগগিরই তিনি ইরান সফরে যাবেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে সহযোগিতার নতুন চুক্তি চূড়ান্ত করতে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ভেনেজুয়েলার তেল উৎপাদনের শীর্ষ মিত্র হয়ে উঠেছে ইরান।
গত বছর থেকে সম্পর্ক জোরালো করছে ইরান ও ভেনেজুয়েলা।
ভেনেজুয়েলার তেল শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইরানের কাছ থেকে সংগ্রহ করছে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সরকার। বিনিময়ে ইরান দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি থেকে অপরিশোধিত তেল এবং অন্য মৌলিক সম্পদ পাচ্ছে। ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ইরান।
রবিবার এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ইব্রাহিম) রাইসির প্রস্তাবে আমি শিগগিরই তেহরান যাচ্ছি, এতে আলোচনা এবং নতুন চুক্তি হবে… এবং সহযোগিতার প্রক্রিয়ায় গতি আসবে।’
প্রেসিডেন্ট মাদুরো জানান তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুইবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন। এসব আলোচনায় নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তারা সম্মত হয়েছেন বলে দাবি করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। সফরের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি। তবে দুই দেশকে যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করেন মাদুরো।
২০২২ সালে ভেনেজুয়েলা আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেন, ‘আরব বিশ্বে তারা আমাদের ভালোবাসে, আমি জানি আরব সরকার ও মানুষ ভেনেজুয়েলাকে ভালোবাসে।’
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করলে দেশটির অপরিশোধিত তেল বিক্রি এবং জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে ভেনেজুয়েলায় সৃষ্টি হয় তীব্র জ্বালানি সংকট।