আশুলিয়ার একটি তৈরি পোশাক কারখানার অভ্যন্তরে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনকে।
এই ঘটনায় ২ দিন ধরে কারখানায় কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে ফের আশুলিয়ার নরসিংহপুর কারখানার ভেতরেই এই কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা বলেন, এক নারী শ্রমিককে কারখানার ভেতরে ইনজেকশনের মাধ্যমে অজ্ঞান করে তিন-চার জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। গত ৬ দিন আগে কারখানায় যোগ দিয়েছিলেন এই নারী শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সেই শ্রমিককে রক্ত দেয়ার কথা বলে নিচে ডেকে আনা হয়। পরে ইনজেকশনের মাধ্যমে অজ্ঞান করে তিন-চার জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি অসুস্থ হওয়ার গত দুই-তিন দিন ধরে কাজে আসেনি।
আজ ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক তার পরিবারের সাথে কারখানায় বিষয়টি জানাতে আসলে সজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান। এসময় বিক্ষব্ধ শ্রমিকরা বিষয়টি জেনে কারখানার কাজ বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টির বিচার না করে উল্টো ভুক্তভোগীর পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কারখানাটির পরিচালক মোরশেদ কবির পলাশ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ধর্ষণের শিকার শ্রমিকের বাবা বলেন, ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি অচেতন অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আশুলিয়া থানায় খবর দেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশণের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম বলেন, পোশাক কারখানার ভেতরে দিনে দুপুরে রান্না ঘরের ভিতরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা শুনে কারখানায় যাই এবং মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরাও বিচার দাবি করি।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) এএস এম কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ধষণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকার অভিযান চলছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।