রাজশাহীর বাগমারায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত নৌকা প্রার্থীর অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের নৌকার তিনটি নির্বাচনী অফিস, নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা ভেদুর মোড়ে নৌকার একটি অফিস, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নৌকার একটি অফিস ভেঙে ফেলার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নৌকার মনোনীত প্রার্থীরা।
গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় নরদাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নৌকার নির্বাচনী অফিসে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেন সে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, নৌকার বিদ্রোহী মোটরসাইকেলের প্রার্থী আবদুর রশিদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে প্রশাসনের কিছু ঘুষখোর কর্মকর্তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলে শুধু নৌকার নির্বাচনী অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল আরও বলেন, নৌকার অফিস ভাঙচুর করে অফিসের সামনেই নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদ ও গাংগোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবদুল মজিদ আনন্দ উল্লাস করেন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের নির্দেশে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা ও স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা পদদলিত করেন। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর প্রতীক নৌকাকে পদদলিত করেন।
অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অফিস করা হলে প্রার্থীকে মৌখিক অথবা লিখিত নোটিসের মাধ্যমে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু প্রার্থীকে আগাম কোনো নোটিস না দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শুধু বেছে বেছে নৌকার অফিস ভাঙচুর করে উপজেলা প্রশাসন।
নৌকার নির্বাচনী অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিকালে মাদিলার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের নেতৃত্বে উপজেলার গোবিন্দপাড়া, নরদাশ ও বাসুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে উল্লাস প্রকাশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিবৃতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় বিবৃতিতে।