বেটা ভার্সন

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

আরও পড়ুন

ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন মামলার বাদী নয়ন দাস

শরীয়তপুরে স্বামী নয়ন দাসের করা যৌতুক মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২৯ ডিসেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতের বিচারক মো. মেজবাউল এই আদেশ দেন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ধার্য তারিখে মামলায় অন্য দুই আসামি হাজির হলেও ১ নম্বর আসামি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্ত্রী মাধবী সরকারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন স্বামী নয়ন দাস। মামলায় আদালত তিন আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।

স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়ারী ইউনিয়নের বিশ্বজিত সরকারের মেয়ে মাধবী সরকারের (২৪) সঙ্গে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের নয়ন দাসের (২৭) বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে চার মাস পর থেকে স্বামী নয়নকে যশোর অথবা গোপালগঞ্জ শহরে বাড়ি করে দিতে চাপ দিতে থাকে স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। বাড়ি করে দিতে না পাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে সু-কৌশলে মেয়ে নিয়ে চলে যায় তার মা-বাবা। যৌতুক ছাড়া সংসারে ফেরাতে গত এক বছর ধরে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে অনুরোধ করে আসছিল নয়নের পরিবার।

একপর্যায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে তাতেও স্বামীর সংসারে ফেরেনি মাধবী সরকার। এরপর গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মতে নালিশী মামলা দায়ের করেন স্বামী নয়ন দাস।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সি বলেন, “মামলায় স্ত্রী মাধবী সরকার (২৪), তার মা অর্চনা সরকার (৩৭) এবং বাবা বিশ্বজিত সরকারকে (৪০) আসামি করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর সবাইকে স্ব-শরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। তবে ধার্য তারিখে ১ নম্বর আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।”

মামলার বাদী নয়ন দাস বলেন, “ভালোবেসে বিয়ে করেও যৌতুক দিতে না পারায় গত এক বছর ধরে স্ত্রীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। মীমাংসার জন্য ওদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসা হলেও স্ত্রীর পরিবার গ্রাম্য আদালতের আদেশ মানে না। অবশেষে যৌতুক ছাড়া সংসারে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে কোনো প্রকার মীমাংসা না করতে পেরে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “ওরা প্রভাবশালী। তাই আমি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। আসামিরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।”

সংবাদ বিভাগ
- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ নিবন্ধ