সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আসা মিছিলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে জেলা শহরের কলেজ রোড, ইলিয়ট ব্রিজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৭০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপে আমাদের প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ দিকে, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল অধিকারকে বলেন, মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় এবং আমাদের ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলাসহ হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। প্রতিবাদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আমাদের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারাফত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলা শহরের কাটাখালির তিনটি সেতুকে ঘিরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলেছে।
অন্যদিকে, জেলা শহরের ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশে হয়েছে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।