২০২১ কে বিদায় জানিয়ে ২০২২ কে বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঘড়ির কাটায় ১২ টা বাজতে না বাজতেই পটকা ও আতশবাজি ফোটিয়ে আনন্দে উৎসবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন দেশের মানুষ। পটকা বা আতশবাজির বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। নতুন বছরের আনন্দে মেতে উঠেন নানা বয়সী মানুষ।
এদিকে, নতুন বছরকে বরণকে কেন্দ্র করে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানীর অন্তত ১০টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মাতুয়াইল স্কুল রোডের একটি বাড়িতে ফানুস থেকে বড় ধরনের আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম। আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জাননন, রাজধানীর ঢাকার ৬ টি স্থানে আগুনের সংবাদ এসেছে। এগুলো হচ্ছে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, লালবাগ, তেজগাঁও, ডেমরা ও সূত্রাপুর। এছাড়াও উত্তরা, ধানমন্ডি, রায়েরবাগে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, ঢাকা শহরে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৭টি স্টেশন থেকে কাজ হচ্ছে। অধিকাংশ আগুন বাসার ছাদে, উত্তরায় গাড়িতে, গ্যাসের লাইনে, ময়লায় লাগে। সূত্রাপুরের ছাদের আগুনটিতে ২টি ইউনিট কাজ করছে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আতশবাজি থামানোর বিষয় না। হাত দিয়ে আটকে রাখা যায় না। আতশবাজি না ফোটাতে গতকালও (বৃহস্পতিবার) আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করেছি। মূলত এসব আতশবাজি ফোটায় একেবারে টিনেজ ছেলেমেয়েরা। তিনি আরও জানান, নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম- অন্তত বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে হলেও যেন এটি সীমিত রাখা হয়। আমি আশা করবো, যারা এই আতশবাজি ফোটাচ্ছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
এদিকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের রাতে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০ স্থানে আগুন লাগার সংবাদ এসেছে জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের কাছে।