সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ৩ আসন (মঠবাড়িয়া) থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) ডা. রুস্তুমী আলী ফরাজী মতবিনিময় করেন। রোববার রাতে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী অভিযোগ করে বলেছেন, কলারছড়ি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজের সমর্থকরা ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের হুমকীর মুখে বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে ফ্রিস্টাইলে ব্যালট পেপারে সিল এবং কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করানো হয়েছে। এসময় তার সঙ্গে তার সহধর্মিনী খাদিজা খূসবু উপস্থিত ছিলেন।
ফরাজী আরও বলেন, আমি সারা দেশের চিত্র জানিনা, তবে মঠবাড়িয়া আসনে যা হয়েছে তাকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহনমূলক ও প্লেনফিল্ড নির্বাচন বলা যায়না। এসময় তিনি সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আমাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ ভয়ভিতী ও হুমকী দিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে জনগন আমার সঙ্গে ছিল বলে বিজয়ী হতে পেরেছি। অত্র আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়েছে। থানা ও প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যাবস্তা গ্রহন করেনি। গনমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জানাতে চাই, এই অনিয়ম, দুর্নীতি ও বর্তমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে আমার কর্মীরা আজ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক প্রিজাইডিং অফিসার নিজেরাই ভোট কেটেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলাম, কমিশন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাগতা জানিয়েছে। নির্বাচনের পরও এখনও সহিংসতা চলছে। অভিযোগ দিলেও থানা কোন মামলা নিতে চায়না। জেলা পুলিশ সুপার ব্যবস্থা নিতে বললেও থানার ওসি কোন অজ্ঞাত কারনে পদক্ষেপ নেয়না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিজিত প্রার্থী ডা. ফরাজীকে প্রতিপক্ষ বলতে কাকে বলছেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মঠবাড়িয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের কর্মীরা নির্বাচনের দিন তান্ডব চালিয়ে ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত করে তাদের ফায়দা হাসিল করতে যা যা করা দরকার তাই করেছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাইনি। তিরি আরও স্থানীয় প্রশাসন আমার সঙ্গে শেষ মুহূর্তে বেঈমানি করছে।
একটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর ৩ আসন গঠিত। এ আসনে ৮৪ টি কেন্দ্রের বেসরকারী ফলাফলে ৪ বারের সংসদ সদস্য সতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) মো. শামীম শাহনেওয়াজ ৬২ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে ডা. রুস্তুম আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট।